Home My Fb Contact About
 
নিউজ My Horse ♥ amartn24 এর পক্ষ থেকে সবাই কে জানাই, প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। বিভিন্ন টিপস এবং দেশ আর দেশের বাইরের গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ নিয়ে আপনাদের সাথে আছি আমি আজগর আলীী। My Horse  

যশোরের প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত মনিরামপুরে, স্বাস্থ্য কর্মকর্তাসহ ১০ জন হোম কোয়ারেন্টিনে

স্টাফ রিপোর্টার,মনিরামপুর (যশোর) ॥ যশোর জেলার প্রথম করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে 

মনিরামপুরে। আক্রান্ত রোগী হলেন একজন স্বাস্থ্যকর্মী। তিনি উপজেলার একটি ইউনিয়নের স্বাস্থ্য সহকারী(এইচএ)। রবিবার চূড়ান্ত শনাক্ত হওয়ায় তাকে উদ্ধার করে সিভিল সার্জন, যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক, মনিরামপুর এবং কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং সেনাবাহিনীর একজন মেজরসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা এলাকা পরিদর্শন করেন। শেষে রাত পৌনে আটটার দিকে মুজগন্নি গ্রামে তার শ্বশুরবাড়িতে হোম কোয়েরেন্টাইনে রেখে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছেন। শ্বশুরবাড়িতে রেখে তাকে সরকারি খরচে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শুভ্রা রানী দেবনাথ রাত সাড়ে আটার দিকে নিশ্চিত করেন। অবশ্য এর আগে তিনি জানিয়েছিলেন করোনা আক্রান্ত ওই স্বাস্থ্য সহকারীকে যশোরের টিবি কিনিকে স্থাপিত ৩০ শয্যা করোনা ইউনিটে নেয়া হয়েছে। অন্যদিকে ওই রোগীর সংস্পর্শে থাকা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাসহ ১০ জনকে গতকাল রাত থেকে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে।
জানা যায়, গত সপ্তাহে ৪৫ বছর বয়সী ওই স্বাস্থ্য সহকারী সর্দি জ্বরে আক্রান্ত হয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডা. অনুপের কাছে চিকিৎসা নিতে আসেন। এ সময় তার দেহ থেকে নমুনা সংগ্রহের পর পরীক্ষার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়। অবশ্য ওই সময় থেকে তিনি হোম কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন। রবিবার দুপুরে আসা ওই রিপোর্টে তার দেহে করোনাভাইরাস পজিটিভ শনাক্ত হয়। ওই স্বাস্থ্য সহকারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পাশে একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। পরে তিনি উপজেলার মুজগন্নি গ্রামে তার শ্বশুরবাড়িতে অবস্থান করছিলেন। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শুভ্রা রানী দেবনাথ প্রথমে জানান, রবিবার বিকেলে যশোরের সিভিল সার্জনের পাঠানো অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে যশোর টিবি কিনিকে স্থাপিত ৩০ শয্যা করোনা ইউনিটের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে রাত সাড়ে সাতটার দিকে যশোরের সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন, যশোর ২৫০শয্যা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. দিলীপ কুমার রায়, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আহসান উল্লাহ শরিফী, কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুসরাত জাহান, দুই থানার ওসিসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা রাতে সরেজিমন পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন শেষে সিভিল সার্জনসহ উপস্থিত অন্যান্য কর্মকর্তাদের পরামর্শে করোনায় আক্রান্ত ওই স্বাস্থ্য সহকারীকে আপাতত মুজগন্নি গ্রামে তার শ্বশুরবাড়িতে রেখেই স্বাস্থ্য বিভাগের সার্বিক তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা দেয়া হবে। তিনি আরও জানান, ওই রোগীর সংস্পর্শে থাকায় তিনি এবং মেডিকেল অফিসার ডা. অনুপ কুমারসহ ১০ জন গতকাল রাত থেকেই হোম কোয়ারেন্টাইনে গেছেন। এদিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আহসান উল্লাহ শরিফীসহ প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তরা গতকাল বিকেলে ওই রোগীর অবস্থান নির্ণয়ের জন্য মুজগন্নি গ্রামে তার শ্বশুরবাড়ি এবং মশ্বিমনগর ইউনিয়নের হাজরাকাটি গ্রামের বাড়ি পরিদর্শনে যান। নির্বাহী অফিসার জানিয়েছিলেন পরির্দশনের পর অবস্থা বুঝে লকডাউন অথবা কোয়ারেন্টাইনের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। উল্লেখ্য, মনিরামপুর থেকে গত ৮ এপ্রিল পর্যন্ত এই স্বাস্থ্য সহকারীসহ মোট ১১ জনের নমুনা সংগ্রহের পর পরীক্ষার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। রবিবার পর্যন্ত ৮ জনের রিপোর্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসে। এর মধ্যে একজনের রিপোর্ট পজিটিভ আসে।
সূত্র: লোকসমাজ

Post a Comment

0 Comments